ভালোবাসার কবিতা ২০২০

ভালবাসার কবিতা: আমার লেখা ১০টি Bangla Romantic Kobita. এই কবিতাগুলো আমার লেখাপড়ার জীবন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় মনের আবেগে লিখেছিলাম, কিন্তু ব্লগে প্রকাশ করার কথা কখনো ভাবিনি। কবিতাগুলো পড়ে কারো ভালো না লাগলে দয়াকরে কোন খারাপ মন্তব্য করবেন। আর ভালো লাগলে ভবিষ্যতে আরো দুই একটি কবিতা লেখার চেষ্টা করব।
ভালোবাসার কবিতা ২০২০




মধ্য যুগ ছিল কবি সাহিত্যিকের যুগ। কিন্তু বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ হওয়ার কারনে এখন আর কেউ কবিতা লেখায় মনোনিবেশ করে না। প্রযুক্তির প্রতি মানুষের অধিক আগ্রহের কারনে আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি দিনে দিনে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এক সময় শহর অঞ্চলে প্রায় সময় বই মেলা বশতো এবং বই মেলায় অসংখ্য অসংখ্য কবিতার বই পাওয়া যেত। এখন আর সেই দৃশ্য খুব একটা চোখে পড়ে না।




ভালোবাসার কবিতা

আমার লেখার ১০টি কবিতার মধ্যে প্রায় সবগুলো হচ্ছে রোমান্টিক কবিতা। সেই জন্য পোস্টের হেডলাইন “ভালোবাসার কবিতা” দিয়েছি। আসলে কবিতা হচ্ছে অনেক বড় একটি সাহিত্য। আমি এই সাহিত্যের কোন অংশ বুঝি না। সেই জন্য কোন ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
তোমার নীল চোঁখে আমি
ভালোবাসি এক জোড়া নীল চোখকে
একটি চকিত চাহুনী মাখা গোলাকার মুখকে
সেখানে খুঁজে পেয়েছিলাম তোমার অনন্ত ভালোবাসা আর শান্তিকে।
নীল চোখ আমি ভালোবাসি তোমার অতল গভীরতাকে
যেখানে রয়েছে আমার সকল স্বপ্ন আর মুক্ত হাসির উৎস।
নীল চোখ আমি চেয়েছিলাম তোমার বুকে গড়তে 
আমার ভালোবাসার ফাঁড়ী জন্ম-জন্মান্তরের জন্য।
নীল চোখ আমার স্বপ্ন ছিল তোমার মাঝে
নাঠোরের বনলতাসেনকে দেখতে।
আমি চেয়েছিলাম তোমার মুক্তজড়ানো হাসিতে 
মুনালিসাকে খুঁজতে।
নীল চোখ তোমার মাঝে আমি সবই পেলাম
বলবোনা শুধু কি হারালাম
ভেবোনা আমি শুধুই লিখলাম 
আমি যে একদিন তোমারই হতে চেয়েছিলাম।
অন্বেষণ
তোমাকে অন্বেষণ করি আমি
প্রভাতের কুয়াশাচ্ছন্ন আলোতে মেঠো পথ ধরে এই বাংলায়।
তোমাকে অন্বেষণ করি আমি 
ভোরের সোণালি রাঙ্গা আলোতে
জীবিকার অনুসন্ধানে রুদ্রশ্বাসে ছুটে চলা মানুষের   মাঝে।
তোমাকে অন্বেষণ করি আমি
 প্রখর রোদ্রের ত্বীব্র দাহনে গ্রামের মাঠে-ঘাঠে সোণালি পথে প্রান্তরে।
তোমাকে অন্বেষণ করি আমি
দুপর বেলায় কলকল করা ভরা নদীর মোহনায়                 
ঘর্মাক্ত মানুষের অবাদ সাতারের মাঝে।
তোমাকে অন্বেষণ করি আমি 
সন্ধ্যার আবছায়া অন্ধকারে ঘরে ফেরা কর্মক্লান্ত
মানুষের মাঝে।
তোমাকে অন্বেষণ করি আমি
বর্ষার রিমঝিম করা  বৃষ্টির প্রতিটি কণায়।
তোমাকে অন্বেষণ করি আমি
শরৎ এর প্রতিটি কাশফুলের মাঝে।
তোমাকে অন্বেষণ করি আমি
কুহেলিকাচ্ছন্ন শীতে রুদ্র পোহানো মানুষের মাঝে।
তোমাকে অন্বেষণ করি আমি
বাসন্তি সন্ধ্যায় হলুদে শাড়ী পড়া নব-বধুর মাঝে।
তোমাকে অন্বেষণ করি আমি
নির্দাহীন চোঁখে প্রতিটা রাতে নিকুটিনের মাঝে।
তোমাকে অন্বেষণ করি আমি
আমার প্রতিটি নিশ্বাসে বিশ্বাসে আমার অস্তিত্বে।
স্মৃতিচারণ
আজ থেকে বহু বছর পূর্বে 
কোন এক বসন্তের আগমনে,
তুমি এসেছিলে মোর জীবনে আশার প্রদীপ হয়ে ,
সেই থেকে আশায় বুক বেধে কাটিয়ে দিয়েছি 
জীবনের শ্রেষ্ট সময়ের শ্রেষ্ট বসন্তগুলি।
কিন্তু তুমি আসলেনা মোর জীবনের  প্রাণ-প্রদীপ হয়ে,
স্বপ্ন গুলি অপেক্ষার প্রহর গুণে গুণে তলিয়ে যাচ্ছে তিমির অন্ধকারে।
কতশত কবিতা লিখেছি তুমায় উৎস্বর্গ করে
কিন্তু পেরেছি কি তোমার কাছে পৌছাতে? 
কতবার বলতে চেয়েছি হৃদয়ের শত আকুতি
কিন্তু বলতে পেরেছি কি?
কতবার কতশত চিরকুট লিখেছি তুমায় উৎস্বর্গ করে
কিন্তু পৌছাতে পেরেছি কি তোমার কাছে?
সব যেন জগদ্ধল পাথর হয়ে আমায় চেপে বসেছে।
আজ আমার না বলা প্রাণের আকুতি
ব্যথারমালা হয়ে কলুষিত হৃদয়ে আমাকেই কাঁদায়।
হয়তো সে কান্নার  সেদিন সমাধি হবে,
যেদিন এ পৃথিবী,এ সমাজ,এ সংসার 
আমায় মুক্তি দিবে অকৃপণ হাতে।
আশার প্রদীপ এমনি করেই 
অধরাই থেকে গেলো আমার পৃথিবীতে।
স্নিগ্ধা
আজ বাতায়ন গেছে খুলি
তোমা পানে চাহিয়া স্নিগ্ধ আখি খানা তুলি।
দেখেছিলেম তোমায় এক অসীম মায়ায়
নীরব কুয়াশায় ঘেরা শীতল ছায়ায়। 
পদ্ম সরোবর কুন্ঠিত হস্তে দাড়িয়ে তুমি
তোমার ভাবনার অপেক্ষায় ছিলেম আমি।
তুমি ছিলে নীরব আনমনা
আমি ভাবছিলেম বিধাতার আলপনা।
যবি দেখি তোমায় আমি হই ধনবান বিত্ত
তোমার পলকে দিপ্তমান খুশি হয় মোর চিত্ত।       
ভাবি তুমি যবে এসেছিলে মোর জীবনে
পুলকিত হয়েছিল এ ধরা।
আমার রিক্ত হস্ত পূর্ণ  করে
মুছে দিয়েছিলে সব জড়া।
হঠাৎ দেখা
হঠাৎ দেখা এক পলক তাকিয়ে থাকা,
নিজের মধ্যে অন্যরকম অনুভূতি সৃষ্টি হওয়া,
মনে হয় জন্ম জন্মান্তরে যাহার অপেক্ষায়
প্রহর গুণেছিলাম তাহার দেখা পেলাম।
আমি অবাক দৃষ্টিতে থাকিয়ে তাকলাম,
হৃদয়টা হাহাকার করে উঠল
একটু কাছে যাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা।
বিধাতার নিপুন হাতে গড়া,
যেন সুন্দরের অনুপমা।
হাজারো মানুষের ভীরে এক ফুটন্ত গোলাপ।
আমার অস্থিত্ব ভূলে গেলাম,
মনে হয়ে ছিল তাহার দুটো হাত ধরে
চিৎকার করে বলি সেই অমৃত-বাণী
যাহা হাজার বছর ধরে হৃদয়ে লালন করে রেখেছি।
কিন্তু চোখ খুলে দেখি সে হাজারো মানুষের ভীরে হারিয়ে গেছে।
অনেক খোজা-খুজি করলাম কোথাও খুজে পেলামনা,
হৃদয়টা অপার শুণ্যতায় চেয়ে বসল
আমি হাফিয়ে উঠলাম
পথ চলতে শুরু করলাম কোন এক অজানার উদ্দেশ্য।
তোমার অপেক্ষায়
তুমি আসবে বলে,
আমার দীঘল রজনী রাত জাগা অষ্ট প্রহরীর ন্যায় জেগে থাকা।
তুমি আসবে বলে,
আমি মধু পূর্ণিমার রাত্রী বিনীদ্র প্রহরীর ন্যায় জেগে থাকি।
তুমি আসবে বলে,
ভোরের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠে আমার হৃদয়।
তুমি আ্সবে বলে,
অলস দুপুর বেলায় শত কষ্ট নিয়ে বিছানায় গড়াগড়ি করতে হয়।
তুমি আসবে বলে,
পড়ন্ত বিকালে চাঁদের উপর একাকি অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়।
তুমি আসবে বলে,
শত দিনের শত সুর্য্য অস্ত যায় তোমার অপেক্ষায়।
তুমি আসবে বলে,
আমার হৃদয় অজানা সুখে মূহ্যমান হয়ে উঠে।
তুমি আসবে বলে,
শত কষ্ট আর দুঃসহ জীবনের ক্লান্তিকে বয়ে নিয়ে চলা।
তুমি আসবে বলে,
অপেক্ষার শেষ নিঃশ্বাস টুকু বেঁচে থাকা।
তুমি আসবে বলে,
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে আমার এ দূর্ঘম যাত্রা।
ইন্দ্রের অপ্সরী
নদীর বুকে চন্দ্রময় মাঝ রাতের অদ্ভুদ
নিস্তব্দ নিরবতা,
ঐ চাঁদ চুপি চুপি বলে যায় কারও কথা ।
আজ যেন ধরনীতে 
উদিত হয়েছে চাঁদদ্বয়,
এক চাঁদ আমার পাশে
 অন্যটা আকাশময়।
এলোমেলো চুলের অপরুপ
 সুন্দর তার মুখখানা,
মনে হয় কোন অপ্সরী....
 মর্ত্যে নেমেছে কেটে তার ডানা।
অনুভবে তুমি
একটি বিনীদ্র রাত্রি জেগে থাকা,
কোন এক হৈমন্তির  আশায়।
ভোরের আলোয় কোন এক হৈমন্তি আসবে,
উদ্ভাসিত করে দিয়ে যাবে আমার আত্বা।

আমি তাহার মাঝে সমর্পণ করবো নিজেকে
অনন্ত কালের জন্য ভালবাসার পাড়ী,
গড়ে তুলব তাহার মাঝে।
সে আমায় পথ দেখাবে
জঞ্জাল পূর্ণ এই পৃথিবী চলার।

দৃঢ়তার সহিত আমার অগোছালো জীবনে,
আলো জ্বালাবে একান্তই নিজের করে।
আমি তাহার মাঝে অনন্ত সুখইখুজে নেবো আপন করে।

এই পৃ্থইবীএই সমাজ এই সংসার হবে
 আমাদের কেবলী ভালোবাসার।
কোন  এক কাকঁ ডাকা ভোরে
আমার হাত ধরে সে বলবে,
চলো অনন্ত অসীমের মাঝে
আমাদের ভালোবাসাকে সমর্পণ করি।

আমি আবেগে আহ্লাদিত হয়ে
তাহার নরম গালে হাত রাখবো..
সে লজ্জা মিশ্রিত আবেগে আমাকে জড়িয়ে ধরবে
পরম উষ্ণতায় চেয়ে যাবে আমাদের হৃদয়।
অপূর্ণতা
তব অন্ধর ধ্যান পটে
হেরি তব রূপও চিরন্তন
অন্তরে অলক্ষ্যে রূপে
তোমরাও অন্তিম আগমন;

লভিয়াছি ছির
স্পর্শ মণি
আমার শূণ্যতা তুমি
পূর্ণ করিয়ে গেছ অরুণি;

জীবন আধার হলো সে ক্ষণে পাইনো সন্ধান
সন্ধ্যার মন্দিরে হেতা চিত্তের দান 
বিচ্ছেদের সন্ধ্যার অন্ধকার হতে
দেখা দিলে তুমি প্রভাতের আলোতে।
চকিত চাহনী
তোমার মায়াবীনী চোখের চাহনী
ভেদ করে চলে যায় আমার এপাশ ওপাশ
এ বড়ই মধুর দহন!
তোমার এই নিষ্টুর চাহনীতে আমি বিলীন
আমার চোখে চোখ রেখনো
আমি যে আর আমিতে থাকিনা
আমার মাঝে বেঝে যায় সা রে গা মা।
যে ঝড় তোলেছ গহীন ঘরে,
এই চকিত চাহনী বুক বিদ্ধ করে যায় অবিরাম।
এক পড়ন্ত বিকালে এক পলক হাসির ঝলক দেখিয়ে
ডুব সাতারে আমাকে করেছ নিমজ্জিত
সেই থেকে আমি নির্ধাহীনতায় ভুকছি।
আমার দেহমন আজ ধবল দহনে খাটিয়া উঠে
শেষ বারের মতো দিয়ে যেও
তোমার দৃষ্টির শেষ স্ফুলিঙ্গ।

শেষ কথা

কবিতাগুলো কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সেই সাথে এই ১০টি ভালোবাসার কবিতা এর মধ্যে কোনটি আপনার কাছে সবচাইতে ভালো লেগেছে সেটিও কমেন্ট করে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আর কবিতা ভালো লাগলে অবশ্যই ফেসুবকে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু।

Comments

Popular posts from this blog

নতুন ফুলের ছবি Download করুন

FTP Server BD 2020: Best FTP BD

Top 5 Bangla Movie Download Site